Class 9 BGS Assignment Answer 2021

Class 9 BGS Assignment Answer 2021: Directorate of Secondary and Higher Secondary Education is published the class nine Bangladesh and global studies assignment questions with solutions, answers online on dshe.gov.bd.

Class 9 BGS Assignment 2021:

Class Nine Bangla and Global Studies Assignment Answer has been published on dghs.gov.bd Lets see the content and assignment work.

5th Week BGS Assignment:

Class: Nine
Subject: Bangladesh and Global Studies
No. of Assignment: 2nd
Chapter – সৌরজগৎ ও ভূ-মন্ডল
Content- সৌরজগৎ ৩.১ থেকে ৩.৪
Assignment Work- বাংলাদেশে জুলাই মাসের সকাল ১০ টার সময়ে জাপান, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় নির্ণয় কর। বাংলাদেশের সাথে উল্লিখিত দেশসমূহের স্থানীয় সময় ও ঋতুগত পার্থক্যের কারণ ব্যাখ্যা কর।
১। সময়ের পারর্থক্যের ক্ষেত্রে দ্রাঘিমা রেখার ভূমিকা উল্লেখ করবে।
২। স্থানগুলোর স্থানীয় সময় নির্ণয় করবে।
৩। ঋতু পরিবর্তনের চিত্র অঙ্কন করবে।
৪। বার্ষিক গতির ফলাফল ও অবস্থানের ভিত্তিতে উল্লিখিত দেশগুলির ঋতুর পার্থক্য ব্যাখ্যা করবে।

class 9 bangladesh and global studies assignment

1st Week BGS Assignment:

Class: Nine
Subject: Bangladesh and Global Studies
No. of Assignment: 1st
Chapter – পূর্ব বাংলার আন্দোলন ও  জাতীয়তাবাদের উত্থান (১৯৪৭-১৯৭০)
Content- ১.১ বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশে ভাষা আন্দোলন-৪, ১.২ বাঙালি জাতীয়তাবাদে রাজনৈতিক আন্দোলনের ভূমিকা-৫ , ১.৩ সামরিক শাসন ও পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ (১৯৫৮ – ৭০) – ৯
Assignment Work- ১৯৫২, ১৯৬৬, ১৯৭০ সাল বাংলাদেশের ইতিহাস বিনির্মানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু সময়। এর মাঝে কোন সালের ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অধিকতর প্রেরণা যুগিয়েছিল বলে তুমি মনে কর? যুক্তিসহ তােমার মতামত তুলে ধর।

Class 9 BGS Assignment Answer 2021:

5th Week BGS Assignment Answer

Questions Part: বাংলাদেশে জুলাই মাসের সকাল ১০ টার সময়ে জাপান, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় নির্ণয় কর। বাংলাদেশের সাথে উল্লিখিত দেশসমূহের স্থানীয় সময় ও ঋতুগত পার্থক্যের কারণ ব্যাখ্যা কর।

Answer:

১। সময়ের পারর্থক্যের ক্ষেত্রে দ্রাঘিমা রেখার ভূমিকা

গ্রিনিচ মানমন্দিরটি লন্ডনে অবস্থিত। গ্রিনিচের দ্রাঘিমাকে 0° ধরা হয়। গ্রিনিচের মানের সময়কে GMT (Greenwich Mean Time) হিসেবে ধরা হয়। এর মাধ্যমে মূল মধ্যরেখার সাপেক্ষে অন্যান্য স্থান, অঞ্চল কিংবা দেশের বিভিন্ন সময়ের হিসাব-নিকাশ করা হয়। বর্তমানে প্রত্যেক দেশ এই গ্রিনিচের সাপেক্ষে সময় নির্ণয় করে থাকে। গ্রিনিচের সাপেক্ষে নির্ণয় করা এই সময়কে প্রমাণ সময় বলে। যদি কোনো দেশ অনেক বড় হয় (যেমন ইন্ডিয়া, রাশিয়া), তবে সেই দেশে কয়েকটা প্রমাণ সময় থাকে। মনে রাখতে হবে, প্রতি ১° দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য ৪ মিনিটের সময়ের পার্থক্য হয়। কোনো স্থানের দ্রাঘিমা ক্রোনোমিটারের সাহায্যে সূক্ষ্ণভাবে নির্ণয় করা যায়। তাই সমুদ্রে থাকা নাবিকেরা ক্রোনোমিটারের সাহায্যে দ্রাঘিমা বের করে নিজেদের অবস্থান নির্ণয় করতে পারেন। তাই সময়ের পারর্থক্যের ক্ষেত্রে দ্রাঘিমা রেখার ভূমিকা রয়েছে।

২। বাংলাদেশে জুলাই মাসের সকাল ১০ টার সময়ে জাপান, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় নির্ণয়:

জাপান, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় নির্ণয় করার জন্য প্রথমে দেশগুলোর দ্রাঘিমা জানতে হবে।

এখানে, বাংলাদেশের (ঢাকা) দ্রাঘিমা = ৯০° পূর্ব

জাপানের (টোকিও) দ্রাঘিমা = ১৩৯.৮৩৯৪৭৮° পূর্ব

কানাডার (অটোয়া) দ্রাঘিমা = ৭৫.৬৯৫০° পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের (ওয়াশিংটন ডিসি) দ্রাঘিমা = ৭৭.০৫০৬৩৬° পশ্চিম

আমরা জানি, ১° দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য = ৪ মিনিট।

জাপানের স্থানীয় সময় নির্ণয়ঃ
দ্রাঘিমার পার্থক্য ( ১৩৯.৮৩৯৪৭৮° – ৯০°) = ৪৯.৮৩৯৪৭৮°
সুতরাং, ৪৯.৮৩৯৪৭৮° দ্রাঘিমায় সময়ের পার্থক্য = (৪৯.৮৩৯৪৭৮° x ৪) মিনিট
= ১৯৯.৩৫৭৯১২ মিনিট বা, ৩ ঘণ্টা ৩২ মিনিট।
জাপানের (টোকিও) অবস্থান পূর্বে হওয়ার কারণে দেশটির সময় বাংলাদেশ (ঢাকা) থেকে বেশি হবে।
সুতরাং, বাংলাদেশে জুলাই মাসের সকাল ১০ টার সময়ে জাপানের সময় হবে = ১০ টা + ৩ ঘণ্টা ৩২ মিনিট = দুপুর ১ টা ৩২ মিনিট।

কানাডার স্থানীয় সময় নির্ণয়ঃ
দ্রাঘিমার পার্থক্য ( ৭৫.৬৯৫০° + ৯০°) = ১৬৫.৬৯৫°
সুতরাং, ১৬৫.৬৯৫° দ্রাঘিমায় সময়ের পার্থক্য = (১৬৫.৬৯৫° x ৪) মিনিট
= ৬৬২.৭৮ মিনিট বা, ১১ ঘণ্টা।
কানাডার (অটোয়া) অবস্থান পশ্চিমে হওয়ার কারণে দেশটির সময় বাংলাদেশ (ঢাকা) থেকে কম হবে।
সুতরাং, বাংলাদেশে জুলাই মাসের সকাল ১০ টার সময়ে কানাডার সময় হবে = ১০ টা – ১১ ঘণ্টা = রাত ১১ টা (আগের রাত)
নোটঃ ১৪ মার্চ ২০২১ থেকে কানাডার ঘড়ির কাটা ১ ঘণ্টা আগিয়ে দেওয়া হয় সেই হিসেবে বাংলাদেশের সাথে কানাডার সময়ের পার্থক্য ১০ ঘণ্টা। তাহলে বাংলাদেশে জুলাই মাসের সকাল ১০ টার সময়ে কানাডার সময় হবে রাত ১২ টা।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় নির্ণয়ঃ

দ্রাঘিমার পার্থক্য ( ৭৭.০৫০৬৩৬° + ৯০°) = ১৬৭.০৫০৬৩৬°
সুতরাং, ১৬৭.০৫০৬৩৬° দ্রাঘিমায় সময়ের পার্থক্য = (১৬৭.০৫০৬৩৬° x ৪) মিনিট
= ৬৬৮.২০২৫৪৪ মিনিট বা, ১১ ঘণ্টা ১৩ মিনিট।
যুক্তরাষ্ট্রের (ওয়াশিংটন ডিসি) অবস্থান পশ্চিমে হওয়ার কারণে দেশটির সময় বাংলাদেশ (ঢাকা) থেকে কম হবে।
সুতরাং, বাংলাদেশে জুলাই মাসের সকাল ১০ টার সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সময় হবে = ১০ টা – ১১ ঘণ্টা ১৩ মিনিট = রাত ১১ টা ১৩ মিনিট (আগের রাত)

নোটঃ ১৪ মার্চ ২০২১ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘড়ির কাটা ১ ঘণ্টা আগিয়ে দেওয়া হয় সেই হিসেবে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সময়ের পার্থক্য ১০ ঘণ্টা। তাহলে বাংলাদেশে জুলাই মাসের সকাল ১০ টার সময়ে কানাডার সময় হবে রাত ১২ টা ১৩ মিনিট।

৩। ঋতু পরিবর্তনের চিত্র অঙ্কনঃ
(তোমারা ঋতু পরিবর্তনের চিত্র অঙ্কন করবে)।

class 9 bgs assignment answer for the 5th week

বার্ষিক গতির জন্য সূর্যরশ্মি কোথাও লম্বভাবে আবার কোথাও তীর্যকভাবে পতিত হয়। যার ফলে দিবারাত্রির হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে। লম্ব ভাবে পতিত সূর্যরশ্মি কম বায়ুর স্তর ভেদ করে আসে তা নয়, এটি লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মি অপেক্ষা অধিক স্থান ব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে বছরের বিভিন্ন সময়ে ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র তাপের তারতম্য হয় এবং ঋতু পরিবর্তন ঘটে। পৃথিবীতে সময়ভেদে তাপমাত্রা পার্থক্য বা পরিবর্তনকে ঋতু পরিবর্তন বলে।

৪। বার্ষিক গতির ফলাফল ও অবস্থানের ভিত্তিতে উল্লিখিত দেশগুলির ঋতুর পার্থক্য ব্যাখ্যা
পৃথিবী নিজ অক্ষের অবিরাম ঘুরতে ঘুরতে একটি নির্দিষ্ট উপবৃত্তাকার কক্ষপথে নির্দিষ্ট থেকে এবং নির্দিষ্ট সময়ে সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করছে। পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে পৃথিবীর পরিক্রমণকে বার্ষিক গতি বলে। পৃথিবীর প্রতি সেকেন্ডে ৩০ কিলোমিটার বেগে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। সূর্যকে পরিক্রমণ করতে পৃথিবীর এক বছর সময় লাগে। বার্ষিক গতির ফলে পৃথিবীর দিন রাত্রির হ্রাস বৃদ্ধি ও ঋতু পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। জুলাই মাসে সূর্যরশ্মি কর্কটক্রান্তি রেখার উপর লম্বভাবে পড়ে। ফলে এই সময় উত্তর গোলার্ধে উত্তাপ বেশি থাকে। এ সময় উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল। জাপান, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। তাই জুলাই মাসে এইসব দেশে গ্রীষ্মকাল থাকে। এভাবে বার্ষিক গতির ফলাফল ও অবস্থানের ভিত্তিতে দেশের ঋতুর পার্থক্য হয়।

1st Week BGS Assignment Answer:

This is the solutions for ১৯৫২, ১৯৬৬, ১৯৭০ সাল বাংলাদেশের ইতিহাস বিনির্মানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু সময়। এর মাঝে কোন সালের ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অধিকতর প্রেরণা যুগিয়েছিল|

Answers:

আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ একদিনে হয় নি। বাংলাভাষা আর স্বাধীনতার জন্য আমাদেরকে দাম দিতে হয়েছে। লক্ষ লক্ষ প্রানের দামে কেনা আমাদের বাংলাদেশ। ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত আমাদেরকে প্রাণ দিতে হয়েছে বাংলার জন্য। 

ভারতীয় উপমহাদেশ দীর্ঘ দুই শত বছরের মতাে ব্রিটিশ শাসনাধীন ছিল। সে হিসাবে আমাদের এ বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ব বাংলাও ব্রিটিশদের অধীন ছিল। তাদের শােষণের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি পেতে না পেতেই শুরু হয় পশ্চিম-পাকিস্তানিদের শােষণের জাঁতাকল। পশ্চিমপাকিস্তানিদের শােষণের প্রথম আঘাতটি আসে আমাদের ভাষার উপর। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে পূর্ববাংলার জনগণ রক্তের বিনিময়ে অর্জন করেছিল মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা। তদানীন্তন পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষা ছিল বাংলা। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠী পূর্ববাংলার জনগণের ওপর সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তার করার পথ বেছে নেয়। তারা ঘােষণা করে বাংলা রাষ্ট্রভাষা হবে না, রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পাবে উর্দু, যা কি না ছিল মাত্র ৭ শতাংশ লােকের মাতৃভাষা। এই অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ হয় সমগ্র পূর্ববাংলা। বাঙালি ঘােষণা করেছিল, সকল মাতৃভাষাই সমান মর্যাদা লাভের অধিকারী। তাই উর্দুর সঙ্গে সঙ্গে বাংলাকেও দিতে হবে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠী বাঙালির ন্যায্য দাবি নস্যাৎ করার জন্যে আন্দোলনরত ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালায়। এতে শহিদ হন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও অনেকে। আন্দোলন আরও প্রচণ্ড হয়, গর্জে ওঠে সারা বাংলা। আতঙ্কিত সরকার বাধ্য হয়ে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

১৯৬৬ সাল বাঙালি জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কারণ ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোর অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ৬ দফা দাবি পেশ করেন। সেই সময়ে পূর্ব বাংলার জনগণের প্রতি পাকিস্তান রাষ্ট্রের অবহেলা আর বৈষম্য চরমে উঠে যায়। যার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দাবি পেশ করেন। 

১৯৬৯ সালে আইয়ুব খান প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দিলে ইয়াহিয়া খান উক্ত পদে আসীন হন। তিনি এক ঘোষণায় পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের পরিশ্রুতি দিলে তা আর অনুষ্ঠিত হয় নি। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে ৭ ই ডিসেম্বর সর্বপ্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৬২ টি আসনের মধ্যে ১৬০ টি আসনে  জয় লাভ করে। এই জয়ের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ এককভাবে সরকার গঠন করে এবং ৬ দফার পক্ষে গণরায় লাভ করে। 

১৯৫২, ১৯৬৬ ও ১৯৭০ সালের তিনটি ঘটনাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পিছনে মন্ত্র হিসেবে কাজ করেছে। তবে আমি মনে করি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য অধিকতর প্রেরণা জুগিয়েছিল। কারণ, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পেয়েছি। নিজের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে পূর্ব বাংলার বাঙালি এবং অন্যান্য জনগােষ্ঠী মাথা উঁচু করে দাঁড়ানাের সাহস ও আত্মপ্রত্যয় খুঁজে পায়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর পঞ্চাশের দশকব্যাপী ছিল বাঙালিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতিকাল। ভাষা আন্দোলন পরবর্তীকালে সকল রাজনৈতিক আন্দোলনের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। এ আন্দোলন এ দেশের মানুষকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তােলে। বাঙালিদের মধ্যে ঐক্য ও স্বাধীনতার চেতনা জাগিয়ে তােলে। পাকিস্তানি শাসনপর্বে এটি বাঙালিদের জাতীয় মুক্তির প্রথম আন্দোলন। বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশে ভাষা আন্দোলন সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে। নিজস্ব জাতিসত্তা সৃষ্টিতে ভাষা ও সংস্কৃতির সম্পর্ক এবং গুরুত্ব পূর্ব বাংলার মানুষের কাছে অধিকতর স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বাঙালি হিসেবে নিজেদের আত্মপরিচয়ে রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি গড়ে তােলার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে থাকে। ভাষাকেন্দ্রিক এই ঐক্যই জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি রচনা করে, যা পরবর্তী সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

Leave a Comment