Class 8 Islamic Studies Assignment Answer 2021

Class 8 Islamic Studies Assignment Answer 2021: Directorate of Secondary and Higher Secondary Education is published the class eight assignment question with solutions and answer on dshe.gov.bd.

Class 8 Islamic Studies Assignment 2021

Class Eight Islamic Studies Assignment has been published. Lets see the content and assignment work for last week.

7th Week Islamic Studies Assignment

Class: Eight
Subject: Islamic Studies
No. of Assignment: 2nd
Chapter – দ্বিতীয় অধ্যায় (ইবাদাত)
Content- যাকাত, যাকাত ফরয হওয়ার শর্ত, যাকাতের মাসরিফ, যাকাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
Assignment Work- তোমার চাচা প্রতি বছরেই একটি নির্ধারিত সময়ে তার অর্থের হিস্য নিকাশ করেন। এ বছর হিসাব করে তিনি দেখতে পান যে, তার নগদ উদ্বৃত্তের পরিমাণ চার লক্ষ টাকা। তিনি শরিয়তের বিধান মতে কীভাবে যাকাত প্রদান করবেন তার উপর কর্ম পরিকল্পনা।

  • যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত
  • প্রদেয় যাকাতের পরিমাণ নির্ধারণ
  • চাচার এলাকায় যাদেরকে যাকাত দেয়া যায়
  • যাকাত হিসাবে চাচা কী কী দিতে পারেন তার তালিকা

1st Week Islamic Studies Assignment

Class: Eight
Subject: Islamic Studies
No. of Assignment: 1st
Chapter – 1st Chapter (আকাঈদ)
Content- ঈমান, নিফাক, আল-আসমাউল হুসনা
Assignment Work-মনে কর তােমার ঘনিষ্ঠ একজন সহপাঠীর আচরণে মুনাফিকের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়, তাকে প্রকৃত মুমিন বান্দা হতে সহায়তা করার জন্য তুমি কী কী উদ্যোগ নিতে পারে- এ সম্পর্কিত একটি কর্মপরিকলপনা তৈরি করাে।

Class 8 Islamic Studies Assignment Answer 2021

Class Eight Assignment Answer has been published for eight and first week. This is the solution of first week assignment:

7th Week Islamic Studies Assignment Answer:

Questions Part: তোমার চাচা প্রতি বছরেই একটি নির্ধারিত সময়ে তার অর্থের হিস্য নিকাশ করেন। এ বছর হিসাব করে তিনি দেখতে পান যে, তার নগদ উদ্বৃত্তের পরিমাণ চার লক্ষ টাকা। তিনি শরিয়তের বিধান মতে কীভাবে যাকাত প্রদান করবেন তার উপর কর্ম পরিকল্পনা।

Answer: আরবি শব্দ যাকাতের অর্থ হল বৃদ্ধি, পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা। ইসলামের পাঁচটি রুকনের মধ্যে যাকাত অন্যতম। ইসলামি পরিভাষায় ধনী ব্যক্তিদের নিসাব (নির্ধারিত) পরিমাণ সম্পদ থাকলে নির্দিষ্ট অংশ গরিব ও অভাবী লোকদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়াকে যাকাত বলে। অর্থ সম্পদ মানুষের হাতে পুঞ্জিভূত থাকুক আল্লাহ্‌ তা পছন্দ করেন না। পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক বলেনঃ

وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ
তোমরা নামায কায়েম কর, এবং যাকাত প্রদান কর। (সূরা মুযযামমিল, আয়াত ২০)
যাকাত হল আল্লাহপাক প্রদত্ত দরিদ্রদের অধিকার। ধনীদের অনুগ্রহ নয়। যাকাত আদায় করা ধনীদের উপর আল্লাহপাক ফরজ করে দিয়েছেন। আল্লাহপাক আরও বলেনঃ

وَفِي أَمْوَالِهِمْ حَقٌّ لِّلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ
এবং তাদের (ধনীদের) ধন-সম্পদে দরিদ্র ও বঞ্চিতের হক রয়েছে। (সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত ১৯)
১। যাকাত ফরজ হওয়ার শর্তঃ যাকাত সবার উপর ফরজ নয়। শুধুমাত্র ধনীদের উপর ফরজ করা হয়েছে। যদি কারও নিসাব (নির্ধারিত) পরিমাণ সম্পদ থাকে তাঁকে অবশ্যই যাকাত আদায় করতে হবে। যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত সাতটি। শর্তগুলোর বিবরণ নিচে দেওয়া হলোঃ
মুসলিম হওয়াঃ যাকাত ফরজ হওয়ার পূর্ব শর্ত হলো মুসলিম হওয়া। অমুসলিমদের উপর যাকাত ফরজ নয়। যদি কোন ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করে তাহলে তাঁকে অতীত জীবনের যাকাত দিতে হবে না। যেদিন থেকে সে মুসলিম হয়েছে সেদিন থেকে হিসেব করে যাকাত দিতে হবে।
নিসাবের মালিক হওয়াঃ কমপক্ষে সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা রুপা কমপক্ষে সাড়ে বায়ান্ন তোলা অথবা ঐ মূল্যের অর্থ বা সম্পদ থাকে তাঁকে যাকাত আদায় করতে হবে।
নিসাব পরিমাণ সম্পদ প্রয়োজনের অতিরিক্ত হওয়াঃ জীবনযাপনে প্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমনঃ বাসগৃহ, জমি, গাড়ি, কৃষি সরঞ্জাম ইত্যাদির উপর যাকাত ফরজ নয়।
ঋণগ্রস্ত না হওয়াঃ ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেও তার উপর যাকাত ফরজ নয়। তবে ঋণ পরিশোধ করার পর যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদ কারো থাকে তাহলে তাঁকে যাকাত দিতে হবে।
সম্পদ বা অর্থ এক বছর স্থায়ী থাকাঃ নিসাব পরিমাণ সম্পদ যদি কারও হাতে এক বছর কাল স্থায়ী না হয় তাহলে তার উপর যাকাত ফরজ নয়। এই বিষয়ে একটি হাদিস রয়েছে,
“ঐ সম্পদের যাকাত নেই যা পূর্ণ এক বছর মালিকানায় না থাকে।” (ইবনে মাজাহ)
জ্ঞানসম্পন্ন হওয়াঃ জ্ঞানবুদ্ধিহীন তথা পাগলের উপর যাকাত ফরজ নয়। যাকাত ফরজ হওয়ার পূর্ব শর্ত হল জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া ।
বালেগ হওয়াঃ শিশু, নাবালেগ থাকা অবস্থায় নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেও তার উপর যাকাত ফরজ নয়। কেবলমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক বালেগদের উপর যাকাত ফরজ করা হয়েছে।
উপরের উল্লেখিত সাতটি শর্ত যার সাথে মিলে যাবে ইসলামের বিধান মোতাবেক তাঁকে অবশ্যই যাকাত দিতে হবে। অন্যথায় পরকালে কঠিন শাস্তির হুশিয়ারি দিয়ে আল্লাহপাক কুরআনে বলেনঃ

وَوَيْلٌ لِّلْمُشْرِكِينَ الَّذِينَ لَا يُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُم بِالْآخِرَةِ هُمْ كَافِرُونَ
আর মুশরিকদের জন্যে রয়েছে দুর্ভোগ, যারা যাকাত দেয় না এবং পরকালকে অস্বীকার করে। (সূরা হা-মীম সেজদাহ, আয়াত ৬-৭)

২. প্রদেয় যাকাতের পরিমাণ নির্ধারণঃ ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুযায়ী নিসাব পরিমাণ অর্থ বা সম্পদ থাকলে তার উপর যাকাত দিতে হয়। অর্থাৎ কমপক্ষে সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা রুপা কমপক্ষে সাড়ে বায়ান্ন তোলা অথবা ঐ মূল্যের অর্থ বা সম্পদ এক বছর স্থায়ী থাকে তাহলে তাঁকে ঐ সম্পদ বা অর্থের ৪০ ভাগের এক ভাগ বা ২.৫০% যাকাত দিতে হবে।
আমার চাচার এক বছরের নগদ টাকার পরিমাণ ৪,০০,০০০ টাকা।
তাহলে শরিয়তের বিধান অনুযায়ী আমার চাচা নিসাব পরিমাণ অর্থের মালিক হওয়ায় তাঁকে অবশ্যই যাকাত আদায় করতে হবে। চাচার যাকাতের পরিমাণ হবে = (৪,০০,০০০ x ২.৫০%) = ১০,০০০ টাকা।

৩. চাচার এলাকায় যাদেরকে যাকাত দেয়া যায়ঃ ইসলামি শরিয়তে কোন কোন খাতে যাকাতের অর্থ দিতে হবে তা স্বয়ং আল্লাহপাক নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে বলেনঃ
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ ۖ فَرِيضَةً مِّنَ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
যাকাত হল কেবল ফকির, মিসকীন, যাকাতের কাজে নিয়োজিত কর্মচারী ও যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক এবং দাস মুক্তির জন্যে, ঋণ গ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (সূরা আত তাওবাহ, আয়াত ৬০)
সুতরাং, চাচা তার নিন্ম লিখিত লোকদেরকে যাকাত দিতে পারেনঃ
ফকির বা অভাবগ্রস্ত লোক যাদের প্রয়োজনের তুলনায় সম্পদের পরিমাণ যথেষ্ট নয়, যাদের জীবনধারনের জন্য ওপরের সাহায্যের দরকার হয়।
মিসকিন যারা নিঃস্ব, অভাবে থাকার পরেও সম্মানের ভয়ে কারো নিকট সাহায্য চাইতে পারে না তাদেরকে যাকাত দেওয়া যেতে পারে।
যাকাতের কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের যাকাত দেওয়া যেতে পারে।
সদ্য মুসলিম হয়েছেন এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেওয়া যেতে পারে।
ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে যাকাত দেওয়া যেতে পারে।
যারা আল্লাহর পথে জিহাদ করেন এবং ইসলাম প্রচার ও প্রসার ও খেদমতের কাজে নিয়োজিত তাদেরকে যাকাত দেওয়া যেতে পারে।
কোন ব্যক্তি যিনি সফরে গিয়ে অসহায় অবস্থায় পড়লে বা যাত্রা পথে আর্থিক সংকটের কারণে বিপদে পড়লে তাঁকে যাকাতের অর্থ দেওয়া যেতে পারে।
৪। যাকাত হিসাবে চাচা কী কী দিতে পারেন তার তালিকাঃ

যাকাতের টাকা জনে জনে না দিয়ে বরং সম্পূর্ণ টাকা একটি পরিবারেকে দিলে ওই পরিবারটি স্বাবলম্বী হতে পারবে।
যাকাতের টাকা দিয়ে কোনো গরিবকে শিক্ষা অর্জন ও তাবলিগ ইত্যাদি দ্বীনি কাজে পাঠায় তাহলে তার যাকাত আদায় হয়ে যাবে।
যাকাতের টাকা দিয়ে গরিবদের ভরণ-পোষণ বাবদ খরচ করা যাবে।
নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক না হলে ভাই-বোন, চাচা, মামা, ফুফু, খালা ও তাদের সন্তানদেরকে জাকাতের টাকা দিতে পারবে।
দরিদ্র শ্রমিককে তার কাজের প্রয়োজনীয় উপকরণ যাকাতের টাকা দিয়ে কিনে দেওয়া যেতে পারে।
এতিমখানায় ও দরিদ্রদের জন্য প্রতিষ্ঠিত দাতব্য চিকিৎসালয়ে যাকাতের টাকা দেওয়া যাবে।
বিভিন্ন যাকাত ফান্ডে যাকাতের টাকা দেওয়া যাবে।
যাকাত গরীবদের অন্তর থেকে ধনীদের প্রতি হিংসা ও বিদ্বেষ দূর করে দেয়। কারণ গরীবরা যখন দেখে ধনীরা তাদের সম্পদ দ্বারা যাবতীয় প্রয়োজন পূরণ করছে, কিন্তু তাদের সম্পদ থেকে তারা কোনভাবে উপকৃত হয় না, এতে অনেক সময় ধনীদের প্রতি তাদের অন্তরে হিংসা ও বিদ্বেষের জন্ম নেয়। কিন্তু ধনীরা যদি বছর শেষে গরীবদের যাকাত দেয়, তাহলে তাদের অন্তর থেকে তা দূরীভূত হয় এবং উভয় শ্রেণির মধ্যে মহব্বত ও ভালবাসার সৃষ্টি হয়। যাকাত দ্বারা আল্লাহ পাপসমূহ দূরীভূত করেন, যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- ‘সদকা পাপ মোচন করে দেয়, যেমন পানি আগুন নির্বাপিত করে দেয়।’ (সুনানে তিরমিযি)

1st Week Islamic Studies Assignment Answer

Question: মনে কর তােমার ঘনিষ্ঠ একজন সহপাঠীর আচরণে মুনাফিকের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়, তাকে প্রকৃত মুমিন বান্দা হতে সহায়তা করার জন্য তুমি কী কী উদ্যোগ নিতে পারে- এ সম্পর্কিত একটি কর্মপরিকলপনা তৈরি করাে।

Answer: ইসলাম শান্তির ধর্ম। তাই ইসলাম ধর্মে ভণ্ড, কপটতা, দ্বিমুখী নীতির কোন স্থান নেই। আর যারা এইসব নীতিতে নিজেদেরকে সামিল করে তারা মুনাফিক। মুনাফিকরা প্রকাশ্যে নিজেদেরকে মুসলিম বলে দাবি করে কিন্তু গোপনে তারা ইসলামকে অস্বীকার করে। মুনাফিক সম্পর্কে আল্লাহ বলেনঃ
وَإِذَا لَقُواْ الَّذِينَ آمَنُواْ قَالُواْ آمَنَّا وَإِذَا خَلَوْاْ إِلَى شَيَاطِينِهِمْ قَالُواْ إِنَّا مَعَكْمْ إِنَّمَا نَحْنُ مُسْتَهْزِؤُونَ
আর তারা যখন ঈমানদারদের সাথে মিশে, তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আবার যখন তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করে, তখন বলে, আমরা তোমাদের সাথে রয়েছি। আমরা তো (মুসলমানদের সাথে) উপহাস করি মাত্র। সূরা আল বাক্বারাহ আয়াত ১৪

আমার এক সহপাঠী রয়েছে, যার চরিত্রে মুনাফিকের লক্ষণ রয়েছে। কারন সে মিথ্যে কথা বলে। মিথ্যা বলা মুনাফিকের কাজ। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেনঃ
إِذَا جَاءكَ الْمُنَافِقُونَ قَالُوا نَشْهَدُ إِنَّكَ لَرَسُولُ اللَّهِ وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّكَ لَرَسُولُهُ وَاللَّهُ يَشْهَدُ إِنَّ الْمُنَافِقِينَ لَكَاذِبُونَ
মুনাফিকরা আপনার কাছে এসে বলেঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহর রসূল। আল্লাহ জানেন যে, আপনি অবশ্যই আল্লাহর রসূল এবং আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।সূরা মুনাফিকুন, আয়াত ১


তাছাড়া, আমার সহপাঠী ওয়াদা ভঙ্গ করে অর্থাৎ, সে কথা দিয়ে কথা রাখে না। ওয়াদা ভঙ্গ করা মুনাফিকের লক্ষণ। ওয়াদা প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَوْفُواْ بِالْعُقُودِ
মুমিনগণ, তোমরা অঙ্গীকারসমূহ পূর্ন কর।
আমার সহপাঠীর মধ্যে মুনাফিকের আরও একটি লক্ষণ পরিলক্ষিত হয় তা হল, সে আমানত এর খিয়ানত করে।


উপরের বর্ণিত তিনটি লক্ষণ মুনাফিকের পরিচয়। কারন হযরত মুহাম্মদ (স) বলেছেনঃ
মুনাফিকের নিদর্শন তিনটি। যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে এবং যখন তার নিকট কোন কিছু গচ্ছিত রাখা হয় তার খিয়ানত করে। (সহিহ্‌ বুখারি, সহিহ্‌ মুসলিম)
আমার সহপাঠীর উক্ত আচরণগুলো দুনিয়া এবং আখিরাতের জন্য ক্ষতিকর। তাই পবিত্র কুরআনে মুনাফিকদের জন্য কঠিন শাস্তির কথা বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেনঃ

إِنَّ الْمُنَافِقِينَ فِي الدَّرْكِ الأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ وَلَن تَجِدَ لَهُمْ نَصِيرًا
নিঃসন্দেহে মুনাফিকরা রয়েছে দোযখের সর্বনিম্ন স্তরে। আর তোমরা তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী কখনও পাবে না।সূরা আন নিসা, আয়াত ১৪৫


মিথ্যা সকল পাপের কারন। মিথ্যা বলা মহাপাপ। ইসলামে মিথার কোন স্থান নেই। একটি মিথ্যা হাজারটি মিথার জন্ম দেয়। নিফাকের ফলে মানুষ অনায় ও অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয় ফলে তাদের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ নষ্ট হয়। নিফাক সমাজের মধ্যে অশান্তি ও মানুষের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি করে। মুনাফিকরা ইসলামের জন্য চরম শত্রু। এরা গোপনে কাফিরদের হয়ে কাজ করে। মুনাফিকরা ইসলামের গোপন শত্রু। পরকালের এদের জন্য রয়েছে সবচেয়ে কঠোর শাস্তি।

আমি আমার সহপাঠীর মুনাফিকী আচরণ দূর করার জন্য নিচের উদ্যোগগুলো নিয়েছেঃ
সহপাঠীকে সর্বদা সত্য কথা বলার উপদেশ দিয়েছি এবং মিথ্যা পরিহার করার জন্য বলেছি।
কাউকে কথা দেওয়ার আগে প্রথমে ভাবতে হবে আমি কথাটি রাখতে পারব কিনা। যদি মনে হয় আমার দ্বারা কথাটি রাখা সম্ভব হবে তবেই অন্যকে কথা দিব। কেউ আমানত রাখতে দিলে তার খেয়ানত করা যাবে না। কারন আমানত এক প্রকার ঋণ। নবীজি আমানতের খেয়ানত করতেন না।

সহপাঠীকে মুমিন হাওয়ার জন্য আমি নিচের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিঃ
প্রথমে সহপাঠীকে ঈমান সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। ঈমানের সাথে ইসলামের কি সম্পর্ক তা তুলে ধরা। ঈমানের তিনটি দিক (অন্তরে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকার করা এবং তদনুসারে আলম করা) সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। ইসলামের সাতটি স্তর (আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও ইমান আনা, ফেরেশতাগণের প্রতি বিশ্বাস করা, আসমানি কিতাবের প্রতি বিশ্বাস করা, নবি-রাসুলগণের প্রতি বিশ্বাস করা, আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস করা, তকদিরে বিশ্বাস করা, মৃত্যুর পর পুনুরুত্থানের প্রতি বিশ্বাস করা) সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং সেগুলোকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করার জন্য তাগিদ দেওয়া।

Leave a Comment