Class 6 BGS Assignment Answer 2022

Class 6 BGS Assignment Answer 2022: Directorate of Secondary and Higher Secondary Education is published the class six assignment answer, questions with solutions online on dshe.gov.bd.

Class 6 BGS Assignment 2022 Answer:

Class six Bangla and Global Studies Assignment Answer has been published on dghs.gov.bd. Directorate of Secondary and Higher Secondary Education is published the 10th and 6th Week Bangladesh and Global Studies Assignment Answer. Lets check the BGS Question with solutions from here.

10th Week BGS Assignment Question:

Class: Six
Subject: Bangladesh and Global Studies
No. of Assignment: 2
Assignment Work: বাংলাদেশের কয়েকটি প্রাচীনতম সভ্যতার নাম,অবস্থান,প্রাপ্ত নিদর্শন, বাণিজ্যিক গুরুত্ব এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য উল্ল্যেখ করে একটি ছকের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত করো এবং বর্তমান বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতি সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করো ।

Class 6 BGS Assignment 2021 Answer

The 10th Week BGS Assignment Solutions:

২১ শে জুলাই, ২০১৮
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক
মিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়,
মিরপুর, ঢাকা।

বিষয়: বর্তমান বাংলাদেশের সাংস্কৃতিকের সাথে প্রাচীন বাংলার সাংস্কৃতিকে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য বিষয়ক প্রতিবেদন প্রস্তুত।

জনাব,বিনীত নিবেদন এই যে, গত ১৮ জুলাই ২০২১ তারিখে প্রকাশিত আপনার আদেশ নং যাহার স্মারক মি.উ.বি ০৯/২০২১ অনুসারে “সাংস্কৃতিক” শিরোনামে প্রতিবেদন পেশ করছি।


বর্তমান বাংলাদেশের সাংস্কৃতিকের সাথে প্রাচীন বাংলার সাংস্কৃতিকে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য


বাংলাদেশের কয়েকটি নগর সভ্যতা, সভ্যতার অবস্থান, প্রাপ্ত নির্দশন, বাণিজ্যিক গুরুত্ব ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের তালিকার ছক নিচে উপস্থাপন করা হলো :

সভ্যতার নামসভ্যতার অবস্থানপ্রাপ্ত নিদর্শনবাণিজ্যিক গুরুত্ববৈশিষ্ট্য
উয়ারী বটেশ্বরনরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার দুইটি গ্রামের বর্তমান নাম উয়ারী বটেশ্বর। প্রাচীন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত উয়ারী বটেশ্বর নামে দুটি গ্রাম আড়াই হাজার বছর আগে গড়ে উঠেছিল।– ধাতব অলংকার
– মূল্যবান পাথর ও কাঁচের পাথর।
– চুন-সুরকির রাস্তা ইট নির্মিত স্থাপত্য
– দুর্গ
– রোলেটেড মৃৎপত্র : স্যান্ডউইচ কাঁচের পুঁতি।
উয়ারী বটেশ্বর ছিল একটি নদীবন্দর। ছাপাঙ্কিত রৌপ্য-মুদ্রা এবং নয়না-ভিরাম বাটখারা বাণিজ্যের পরিচায়ক নবযুক্ত হাইটিন ব্রোজয় নির্মিত পাত্র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে কথা বলা হয়।উয়ারী বটেশ্বর মাটির নিচ থেকে প্রাপ্ত নগর সভ্যতা। শিক্ষক হানিফ পাঠান এ সকল উপাদান সংগ্রহ করে। বিশেষ করে অমূল্য প্রত্নবস্তু, ধাতব অলংকার, কাঁচের পুঁথি, মুদ্রা, দুর্গ ইত্যাদি ছিল ভরপুর।
মহাস্থান গড় (পুন্ড্রনগর)২৪০০ বছর আগে বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৮ কি.মি. উত্তরে করতোয়া নদীর তীরে গড়ে উঠে মহাস্থানগড়। এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন।– নগরের রাস্তাঘাট
– ঘরবাড়ি
– অলংকার
– মুদ্রা
– পোড়ামাটির শিল্পকর্ম
– বাক্ষ্মী লিপি
– ২০টি বৌদ্ধ-বিহার
– দুর্গনগর সংলগ্ন গোবিন্দ ভিটা
– গোকুল মেধে দুটি মন্দির
– ভাস্কর্য
– ভাসু বিহার
এটি ছিল একটি সমৃদ্ধ নগর। পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী শহর, ভারত উপমহাদেশের অনেক নগর বন্দরের যোগাযোগ ছিল এখানে। ফলে বহু বাণিজ্যিক ও সংস্কৃতির লেনদেন ঘটে।এটি ছিল দ্বিতীয় নগর সভ্যতা, বাংলাদেশের অতিপ্রাচীন সভ্যতা এটি। এর জমি ছিল উর্বর। ছিল ঘনবসতি পূর্ণ। এখানে মৌর্য শাসক সম্রাট অশোক, গুপ্ত, পাল, সেন সম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া যায়।

বর্তমান বাংলাদেশের সাংস্কৃতিকের সাথে প্রাচীন বাংলার সাংস্কৃতিকে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিম্নে দেয়া হলো:
বর্তমানে যে জীবনব্যবস্থা দেখা যায় তা হঠাৎ করে হয়নি। এর ভীত গড়া হয়েছে হাজারো বছর পূর্বে। কালে কালে এর পরিবর্তন ঘটেছে। তবে কিছু প্রাচীন নিদর্শন এখনো অক্ষুন্ন আছে। যা যত্ন সহকারে সংগ্রহ করা হয়েছে। আমাদের দেশে যে সকল সংস্কৃতি পরিলক্ষিত হয় তার যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রাচীন কাল থেকে।

বর্তমানে আমাদের দেশে মুসলিম ধর্মের মানুষ অধিক। কিন্তু প্রাচীন যুগে ইসলাম ধর্মের প্রচলন ছিল না। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ছিল অধিক রীতি নীতি, যার প্রভাব অনেকটা রয়ে গেছে এখন। তাছাড়া বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মেরও রীতিনীতি পরিলক্ষিত হয়। 

প্রাচীন বাংলা ছিল কৃষি নির্ভর। তাছারা গুড় ও চিনি রপ্তানি করেও প্রচুরভাবে বাণ্যিজিক প্রসার ঘটে। বর্তমানে সেসব ফসলের পাশাপাশি আরো অনেক ফসল যেমন-পাঠ, আখ, চা ইত্যাদি রপ্তানি হচ্ছে। 

প্রাচীন সভ্যতায় মসলিন কাপড়ের ব্যাপক চাহিদা ছিল। দেশ বিদেশে এর ব্যাপ রপ্তানি হতো। বর্তমানে এর চাহিদার সাথে সাথে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপক পরিমাণে। তাছাড়া বাদ্যযন্ত্র, ইলেকট্রনিক জিনিসের তখন তেমন চাহিদা ছিল না কিন্তু বর্তমানের সাংস্কৃতিকে এর ব্যবহার বিপুল।

Class 6 Bangladesh and Global Studies Assignment Question

Class: Six
Subject: Bangladesh and Global Studies
No. of Assignment: 1st
Chapter – প্রথম অধ্যায়
Assignment Work- ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত সময়কালে মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধুর অবদান

2nd Week Class 6 BGS Assignment 2021 Answer

2nd Week Class Six BGS Assignment Solutions 2022

১৯৫২ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর সময় পর্যন্ত অনেক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল বাঙালি জাতিকে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পাকিস্তানের রাজধানী ছিল পশ্চিম পাকিস্তানে, ক্ষমতাও ছিল পশ্চিম পাকিস্তানীদেরই হাতে। অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ব্রিটিশদের কাছ থেকে অর্জিত স্বাধীনতা সত্বেও পূর্ব পাকিস্তানীরা স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি। অনেক ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে আমরা পেলাম স্বাধীনতা। তবে এ স্বাধীনতা একদিনে অর্জিত হয়নি। একটু একটু করে বহু আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অবশেষে আমরা পাই স্বাধীনতার স্বাদ।

১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত সময়কালে মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলন
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলনের গোড়াপত্তন হয়েছিল মূলত ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। ৫২’তে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পেলেও স্বাধীনতার স্বাদ তখনও আমরা পাইনি। অবশেষে ১৯৭১ সালে আমরা পেলাম স্বাধীনতার স্বাদ। স্বাধীনতা পর্যন্ত সময়কালে মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলনের পিছনে সাক্ষী হয়ে আছে অনেক কাল।

৫২’র ভাষা আন্দোলন (১৯৫২)
১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ২১শে মার্চ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেন এতে পূর্ব পাকিস্তানে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ফলে ১১ই মার্চ ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকায় ধর্মঘট পালিত হয়।

২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২: ১৪৪ ধারা ভঙ্গের
প্রশ্নে পুরাতন কলাভবন প্রাঙ্গণে
আমতলায় ঐতিহাসিক ছাত্রসভা।

ধর্মঘট পালনকালে শেখ মুজিবসহ আরও কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মীকে সচিবালয়ের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। আন্দোলন আরও জোরদার হতে থাকে। আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে। ২০শে ফেব্রুয়ারি রাতে সভা করে ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল বের করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২২শে ফেব্রুয়ারি পুলিশ ছাত্র জনতার মিছিলে গুলি বর্ষণ করে। সালাম-রফিক-বরকতসহ অনেকেই নিহত হন। ভাষার জন্য তাদের প্রান বৃথা যায় নি। অবশেষে ১৯৫৪ সালের ৭ মে মুসলিম লীগের সমর্থনে বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দেয়া হয়

৬ দফা আন্দোলন (১৯৬৬)
এ দেশের মানুষের অধিকার আদায় এবং শােষণ-বঞ্চনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বহুবার গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ হন।

শেখ মুজিবুর রহমান
১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি
লাহোরে ছয় দফা পেশ করছেন।

১৯৬৬ সালে তিনি পেশ করেন বাঙালি জাতির ঐতিহাসিক মুক্তির সনদ ছয় দফা। এ সময় নিরাপত্তা আইনে তিনি বারবার গ্রেফতার হতে থাকেন। আজ গ্রেফতার হয়ে আগামীকাল জামিনে মুক্ত হলে সন্ধ্যায় তিনি আবার গ্রেফতার হন। এরকমই চলে পর্যায়ক্রমিক গ্রেফতার। তিনি কারারুদ্ধ জীবনযাপন করতে থাকেন। তাঁকে প্রধান আসামি করে দায়ের করা হয় আগরতলা মামলা।

উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান (১৯৬৯)
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ১৯৬৯ সালের জানুয়ারি ৫ তারিখে দফা দাবি পেশ করে যার মধ্যে শেখ মুজিবের ছয় দফার সবগুলোই দফাই অন্তর্ভুক্ত ছিল। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু হয়। যা পরবর্তীতে গণ আন্দোলনের রূপ নেয়। এই গণ আন্দোলনই ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান নাম পরিচিত। মাসব্যাপী চলতে থাকে আন্দোলন, কারফিউ, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ, পুলিশের গুলিবর্ষণ। পরবর্তীতে এই আন্দোল চরম রূপ ধারণ করলে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান তাদের রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে গোলটেবিলে বৈঠকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার ও বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

৭০’ এর সাধারণ নির্বাচন (১৯৭০)
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক। সামরিক শাসন এবং পাকিস্তানী সামরিক গণতন্ত্র বিরোধী অপশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলনের পর আসে এই নির্বাচন। নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রাদেশিক আইনসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। জাতীয় পরিষদের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টিতে এবং প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৮টি আসনে জয় লাভ করে আওয়ামী লীগ।

৭১’র মুক্তিযুদ্ধ (১৯৭১)
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে পাকবাহিনীর হত্যাযজ্ঞে সারা বাংলাদেশের মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এমনি অবস্থায় গ্রেফতারের আগ মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বাধীনতার ঘােষণা দেন তা ওয়ারলেসের মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়ে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ. হান্নান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে পাঠ করলে সারাদেশে ব্যাপক আলােড়ন সৃষ্টি হয়। পূর্ব বাংলা রেজিমেন্টের মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হয়ে ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রচার করে, ফলে বিশ্ব বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ঘোষণা সম্পর্কে জানতে পারে।

বঙ্গবন্ধুর অবদান
ভাষা আন্দোলনের সময় থেকে স্বাধীনতার সময় পর্যন্ত যে মানুষটি সামনে থেকে বাংলার ধামাল ছেলেদের অনুপ্রেরণা জুগিয়ে ছিল তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজকের যে স্বাধীন সোনার বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি তার পিছনে সবচেয়ে বড় কারন হল বঙ্গবন্ধু। হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালির শ্রেষ্ঠতম অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আর এই স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের সঙ্গে যার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে আছে, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ক) “উর্দুই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে।” এ ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু জেলে থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিয়ে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদকে পরোক্ষভাবে পরিচালনার মাধ্যমে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ আয়োজনে তিনি সাহসী ভূমিকা রাখেন।

খ) ১৯৫৫ সালের ৫ জুন আইন পরিষদের সদস্য মনোনীত হলে তিনি পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ২১ দফা দাবি পেশ করেন, যার মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন অন্তর্ভুক্ত ছিল।

গ) সেনাবাহিনী প্রধান আইয়ুব খান দেশে সামরিক আইন জারি করলে বঙ্গবন্ধু সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন করেন। যার ফলে তাকে কয়েকবার কারাগারে যেতে হয়েছিল।

ঘ) ১৯৬৬ সালে তিনি পেশ করেন বাঙালি জাতির ঐতিহাসিক মুক্তির সনদ ছয় দফা দাবি পেশ করেন। যা বৈষম্য নিরসনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল।

ঙ) ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ৫ই ডিসেম্বর শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক জনসভায় শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানকে “বাংলাদেশ” নামে নামকরণের ঘোষণা দেন

চ) উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান পথিকৃৎ ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক মুক্তি সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আইয়ুব খান সরকারের পতন ঘটে এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে।

ছ) ৭ ই মার্চ ১৯৭১ এর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালিদেরকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানায়।

জ) ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তারই ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সাহস করেছি।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। মুক্তির দিশারি। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে কখনও বিচ্ছিন্ন করে ভাবা যায় না।

Source: DSHE

Leave a Comment